স্বাস্থ্য
বাড়তি ওজন কমাতে “Water Therapy”

বাড়তি ওজন। এই সমস্যা তো এখন ঘরে ঘরে। জীবন-যাপনের ধরণ, খাওয়া-দাওয়ার অনিয়মের জেরে ওজন বাড়ার সমস্যায় জেরবার অনেকেই। বাড়তি ওজন ঝড়িয়ে ফেলার জন্য অনেক কিছুই হয়তো করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ডায়টিং করেছেন! ফল হয়নি। Exercise-এও তেমন ফল পাচ্ছেন না। তবে যে কোনও পদক্ষেপের আগেই একবার চিকিৎসক বা ডায়টেশিয়ান-এর পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ক্যালোরি গেইন ও ক্যালোরি বার্ন-এর মধ্যে সামঞ্জস্য থাকলেই ওজন বাড়বে না। কিন্তু সেটা মেনে চলা তো আর এত সহজ নয়। তাই বাড়তি ওজন কমাতে জাপানি Water Therapy যাচাই করে দেখতে পারেন।
জাপানি Water Therapy কী?
জাপানের বেশিরভাগ নাগরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চা ও জলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। জাপানিরা দুধ দেওয়া চা পান পছন্দ করেন না। বরং Herbal Tea-এর দিকেই তাঁদের ঝোঁক বেশি। সেইসঙ্গে বাড়তি ওজন চটজলদি ঝড়িয়ে ফেলতে Water Therapy-র সহায়তা নেন। এই থেরাপি খুবই সহজ। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ঘরের তাপমাত্রার সমান জল একটি গ্লাসে ঢেলে পান করতে হবে। তার পর ৪৫ মিনিট আর কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে না। তার পর ১৫ মিনিট ধরে খাবার খেতে হবে। সেই খাবার গ্রহণের পর ফরের দুঘণ্টা আর কিছু খাওয়া যাবে না। এই থেরাপি মানলে বেশি করে জল খাওয়ার অভ্যেস তৈরি হয়। তবে এই থেরাপি চলাকালীন কোনওভাবেই ঠাণ্ডা জল খাওয়া যাবে না।
কীভাবে কমবে বাড়তি ওজন? জল আপনার ওজন কমাতে ও বাড়াতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। তবে জাপানি Water Therapy-র ক্ষেত্রে জল পানের দিকেও বেশি নজর দেওয়া হয়। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে হবে। হজম শক্তি বাড়াতে হবে। যাতে মেটাবলিজম সক্রিয় থাকে। ফলে Fat Burn হতে পারে দ্রুত। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে এই থেরাপি মেনে চলার আগে একবার চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়াটা প্রয়োজন। অনেকেই শারীরিক অসুস্থতা বা ওষুধ সেবনের জন্যও স্থূলকায় হন। তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু কোনওভাবেই এই থেরাপি প্রয়োগ চলবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি

মহামারি করোনার তাণ্ডবে এখনো টালমাটাল বিশ্ব। দিন দিন যেন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যু। আক্রান্তও হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ৭২৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৪ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৪০ লাখ ৮২ হাজার ৬৩৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ২৪৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার ২৮৪ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৭০ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৬ হাজার ৮০৩ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ১২ হাজার ১৯ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৯২ লাখ ৯ হাজার ৭২৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৮ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ২ জন। মারা গেছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ২৭৮ জন।
এ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৮ লাখ ২৯ হাজার ৭২৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ১১ হাজার ৪১৩ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় তুরস্ক ষষ্ঠ, যুক্তরাজ্য সপ্তম, আর্জেন্টিনা অষ্টম, কলম্বিয়া নবম ও ইতালি দশম স্থানে রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৯তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
স্মার্ট ফোনের আলো কি শুধুই ক্ষতিকর?

বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দৈনন্দিন প্রায় প্রতিটি কাজেই আমাদের কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয়। কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে বের হওয়া নীল আলোকরশ্মি আমাদের শরীরের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই নীল আলোকরশ্মির বেশকিছু গুণ আছে সেটা আমাদের অনেকেরই হয়তো অজানা।
কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে নির্গত হওয়া আলোর মধ্যে ৭টি রঙের রশ্মিই থাকে। কিন্তু এর মধ্যে নীল রশ্মি সবচেয়ে শক্তিশালী। তাই এটি ক্ষতিও করে সবচেয়ে বেশি। এবার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের নীল আলো সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা জেনে নেওয়া যাক।
কেন এই নীল আলোকরশ্মি ক্ষতিকারক-
১. এই আলোকরশ্মীর কারণে ঘুম কমে যায়।
২. চোখে অনেক চাপ পড়ে। ফলে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে।
৩. কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মস্তিষ্কে চাপ পড়ে।
এই নীল আলোকরশ্মি ক্ষতির পাশাপাশি কিছু উপকারও করে। সেগুলো হলো-
১. নীল আলোকরশ্মি মস্তিষ্ককে অনেক বেশি সজাগ রাখে। মন দিয়ে কোনো লেখার জন্য কাগজ-কলমের চেয়ে কম্পিউটারের স্ত্রিন অনেক কার্যকর। কারণ এতে অনেক ক্ষেত্রে মনসংযোগ বা়ড়ে।
২. পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারে এই রশ্মি।
৩. কম্পিউটার বা স্মার্টফোন এই রশ্মি মন খারাপ থেকে বিরত রাখতে পারে।
৪. যদি শুধুমাত্র দিনের আলোয় কম্পিউটার আর স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয়, তাহলে এই রশ্মির কারণে রাতে ঠিক সময়ে ঘুম আসে। আবার সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙে।
এই নীল আলোকরশ্মির ক্ষতিকারক দিক কিভাবে এড়ানো যায় সেগুলো হলো-
১. ২০-২০-২০ এই নিয়মটা অনেকটা কাজে দেয়। টানা ২০ মিনিট কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তার পরে অন্তত ২০ ফুট দূরের কোনও বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখের উপর চাপ কমে যাবে।
২. কম্পিউটারের পর্দা থেকে অন্তত ২৫ ইঞ্চি দূরে বসুন।
৩. এমন একটা উচ্চতায় কম্পিউটারের স্ক্রিন রাখুন, যাতে আপনাকে একটু নীচের দিকে তাকাতে হয়।
৪. স্ক্রিনের কনট্রাস্ট কিছুটা বাড়িয়ে রাখুন। এতে চোখের উপর চাপ কমবে।
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের সমস্যা সমাধানের ওষুধ ব্যবহার করুন। সূত্র: আনন্দবাজার
সর্বশেষ
কেমন রোগ স্লিপি হলো?

রহস্যময় গ্রাম কালাচি! কাজাখস্তানের এই গ্রামটির নাম বহুবার সংবাদ শিরোনামে এসেছে। কারণ এখানে বেশকিছু গ্রামবাসী প্রায় ছয়দিন একটানা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অদ্ভুত আরও কাণ্ড ঘটেছে গ্রামটিতে। এমন ঘটনা গোটা বিশ্বকে চিনিয়েছে এ গ্রামকে।
শুক্রবার (২৮ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে ফের উঠে এলো গ্রামটির চিত্র।
ঘটনাটি ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের। অদ্ভুত সব আচরণ প্রকাশ পাচ্ছিল কালাচি গ্রামের মানুষের মধ্যে। যে কেউ যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন! কারও ঘুমই ভাঙছিল না! কেউ চোখের সামনে অদ্ভুত এবং ভয়ঙ্কর সব দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলেন।ঘুমের পরিমাণ এমনই তীব্র হয়ে উঠছিল যে যারা ঘুমাচ্ছেন, তারা যেন কিছুতেই চোখের পাতা খোলা রাখতে পারছিলেন না। আর যারা অকারণে ঘুমিয়ে পড়ছিলেন, তারা ঘুম থেকে উঠেই সবকিছু ভুলে বসছিলেন। কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, কী কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এসব কিছুই মনে থাকছিল না কারও। তার সঙ্গে আরও যুক্ত হতে থাকে মাথাব্যথা ও দুর্বলতা। এমনও কয়েকবার হয়েছে যে একজন সারা দিনে ৫-৬ বারের বেশিও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
জানা গেছে, এই ৩ বছরে গ্রামটির ১৬০ জন বাসিন্দা অদ্ভুত এক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। বাসিন্দাদের কেউ ঘুমিয়েছেন টানা ৬ দিন, কেউ দেখেছেন পক্ষীরাজ ঘোড়া ছুটে যেতে। শুধু মানুষ নয়, পশু-পাখিরাও এই ঘুমের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
এমনও হয়েছে যে টানা ৬ দিন ঘুমিয়ে চলেছেন মানুষ। তারপর যখন ঘুম ভেঙেছে, তখন যৌন চাহিদা অত্যন্ত বেড়ে যায়। আবার কারও চোখের সামনে সারাক্ষণ অদ্ভুত সব দৃশ্য ঘুরে বেড়ায়। কখনও বিছানার মধ্যে বিষধর সাপ দেখতে পান, তো কখনও পক্ষীরাজ ঘোড়া ছুটে যেতে দেখতে পান কেউ কেউ।
এ ছাড়া খাবারে অনীহা, মাথা ঘোরাসহ নানা শারীরিক দুর্বলতা তো ছিলই তাদের মধ্যে। কেন এমন ঘটছিল?
২০১৪ সালে প্রথম এ নিয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবর সারা বিশ্বের নজর কাড়ে। ওই গ্রামের অসুস্থদের নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।
এই রোগের নাম দেওয়া হয় ‘স্লিপি হলো’। রোগের কারণ নিয়ে নানা মতবাদ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীকালে এর প্রকৃত কারণ জানা যায়।
গ্রামটির কাছেই ছিল ইউরেনিয়ামের খনি। খনির বিষাক্ত পদার্থ মিশে পানি দূষণের ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন বহু গবেষক।
২০১৫ সালে কাজাখস্তানের প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা ছিল, বাতাসে কার্বন মনোক্সাইডের অতিমাত্রাই এর কারণ
পরীক্ষায় দেখা গেছে, বাতাসে স্বাভাবিক পরিমাণের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ছিল কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ।
এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই এই গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বর্তমানে কালাচিতে ১২০টি পরিবার বাস করে। তারা এখন স্বাভাবিকভাবে ঘুমায় এবং তার পর এখনও পর্যন্ত আজগুবি আর কোনোকিছুই দেখা যায়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার
-
বিনোদন2 years ago
৫০ হাজার সিনেমা ডাউনলোড হবে মাত্র এক সেকেন্ডেই!
-
ইতিহাস2 years ago
রহস্যময়ী ক্লিওপেট্রা
-
আন্তর্জাতিক2 years ago
বিশ্বজুড়ে বিয়ের যত আজব অদ্ভুত রীতিনীতি
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি2 years ago
মোবাইল ফোন আসল না নকল বুঝবেন যেভাবে
-
খেলাধুলা2 years ago
প্রথম জয়ের স্বাদ পেল আর্জেন্টিনা
-
জাতীয়2 years ago
‘পরীক্ষা এক বছর না দিলে শিক্ষার্থীদের জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না’
-
আন্তর্জাতিক2 years ago
দ্য চেঞ্জ মেকার : এরদোয়ান
-
জাতীয়2 years ago
পাখির গ্রাম ঝিকরাপাড়া (রওনাক ফেরদৌস)