শিক্ষাঙ্গন
এই গ্রামে (সোহানুর রহমান সোহান)

এই গ্রামে মানুষ দেখি আর অবাক হই
যাদের ভাবতাম ভালো তারা আজ কালো..
এই গ্রামে মানুষ দেখেছি এখন দেখি মুখোশ
প্রতি মূহুর্তে উন্মোচন হচ্ছে তাদেরি নগ্ন খোলস!
এই গ্রামে যাদের ভাবা হয় জীবন গড়ার কারিগর
তারাই আজ কে করছে সমাজকে নীচুতর।
এই গ্রামে কিছু মানুষ সমালোচনা করে যাচ্ছে
কারো ভালো দেখলে তারা, তার পেছনে লাগছে।
এই গ্রামে তারা মিথ্যা বলে যাচ্ছে
সমাজে মানুষের ভেতরে বিভ্রান্ত ছড়াছে।
এই গ্রামে তারা যাচ্ছে গিবত করে
নামাছে নিজে কে ব্যাক্তিত্বহীনদের কাতারে।
এই গ্রামে মানুষ না জেনে মন্তব্য করে চলেছে
না জেনে মন্তব্য করাটা কতটা খারাপ তা কি সে ভুলেছে?
ছলপাতা এই গ্রামে মানুষ খুবই খারাপ
রাত থেকে দিন করে চলেছে অনর্থক আলাপ।
জাতীয়
‘পরীক্ষা এক বছর না দিলে শিক্ষার্থীদের জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না’

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সহসাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে ‘বিকল্প’ ভাবা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পরিস্থিতির কারণে এটাও সম্ভব না হলে, বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আমরা বিকল্প পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারেও ভাবছি।’
তিনি বলেন, ‘১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিও ছিল, কিন্তু সীমান্ত এলাকায় করোনা বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়েছি। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি চলমান রয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে বের করার চেষ্টা করছি।’
ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে বা কীভাবে হবে তা নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা কেবলই বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করে দীপু মনি।
শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষতিটা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি এবং এই ক্ষতিটা সারা বিশ্বেই হচ্ছে। এই ক্ষতিটা কী করে পুষিয়ে নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারেও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’
পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদেরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে আরও কী করা যায়- সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছি আমরা।’
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে গত বছরের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ঠিক আগেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আটকে যান। পরে অবশ্য তাদের ‘অটোপাস’ করিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে।
ছুটির সময় কোনো পাবলিক পরীক্ষা হয়নি। আর উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড় করে।
চলতি বছরে কয়েক দফায় স্কুল ও কলেজ খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ১৩ জুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
সাহিত্য
অদ্ভুত নিয়ম (আকতারুল ইসলাম)

আজকে যাকে রেখে আসলাম চিরতরে
তার খোঁজ আর কোনদিনও রাখা হবে না।
তাকে আর শ্রদ্ধাভরে ডাকা হবে না, চাচা কি খবর,
ভালো আছেন তো? কী আশ্চর্য! তাকে আর দেখবোনা।
আর শুনবো না তার স্নেহময় বাণী, চোখের সামনে ভাসবে না
আর সেই অকৃত্রিম হাঁসি। ধরনীর কি অদ্ভুত নিয়ম!
প্রিয় শব্দটি আর প্রিয় থাকে না। বেদনার নীল রং এসে তা ধুয়ে দেয়।
আহ্! কি অকৃত্রিম সেই হাসি। ধরনীর কি অদ্ভুত নিয়ম!
দাদা,দাদি, বাবা,মা , আজ সব প্রিয় শব্দে বেদনার নীল রং
মিলে মিশে একাকার। সবাই গিয়েছেন চলে। দূর দিগন্তে পরপার।
আজকে যাকে রেখে আসলাম চিরতরে, সে কি আমাদের ভুলে থাকতে পারে!
নাকি আমারাই ভুলে যাই দুনিয়ার মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে!
আজকে যাকে বিদায় দিলাম পরম দুঃখ ভরা মনে , সেই প্রিয়জন আমাদের
ডেকে যায় ক্ষনে বিক্ষনে। ধরনীর কি অদ্ভুত নিয়ম!
বেদনার নীল আকাশে প্রিয়জন হারানোর স্মৃতি ভেসে ওঠে
একদিন যেতে হবে সবাইকে অজানা সেই দেশে , নির্মম মলিন বেশে।
বেদনার নীল আকাশ আরেকটু নীল হয়। আহ! ধরনীর কি অদ্ভুত নিয়ম।
সাহিত্য
সত্য কেন বলব? (মাহমুদ আজাদ)

সত্য কেন বলব?
যখন মিথ্যার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুরো পৃথিবী।
মিথ্যার উপর গড়ে উঠেছে, আশার নতুন বসতি।
মিথ্যা নিয়েছে স্বাধীনতার রং, বিজয়ের নব আভা
জাতির পতাকায় শকুন বসেছে, জেকে বসেছে পরাধীনতা।
সত্য কেন বলব?
যখন মিথ্যা পেয়েছে জাতীয় চরিত্র, মিথ্যা আজ বিশ্বজনীন
মিথ্যার পালকে ভর করে কেও ,নিত্য করে প্রতিদিন।
মিথ্যার বলে জুটে কপালে, বিখ্যাত সব পুরস্কার
সত্যের উপর অটল থাকলে, মিলবে যত তিরষ্কার।
সত্য কেন বলব?
যখন মিথ্যা পেয়েছে জয়ধ্বনি, পুষ্পার্ঘ্যের সমাহার
সত্য তাই করেছে সবাইকে, ঘৃণা ভরে পরিহার।
মিথ্যুকরা আজ বেজায় খুশি, উল্লাস করে হাসে
ঘুনে ধরা সমাজটা আজ, হতাশার জলে ভাসে।
সত্য কেন বলব?
যখন মিথ্যার অক্ষরে নতুন করে, লেখা হচ্ছে ইতিহাস
মিথ্যা হয়েছে শিক্ষার বাহন, এযেন নিয়তির পরিহাস।
কলমের কালিতে মিথ্যার মিশেল, করেছে লেখকগন সত্যেকে সরিয়ে মিথ্যার আলোয়, উদ্ভাসিত এই ভুবন।
-
বিনোদন2 years ago
৫০ হাজার সিনেমা ডাউনলোড হবে মাত্র এক সেকেন্ডেই!
-
ইতিহাস2 years ago
রহস্যময়ী ক্লিওপেট্রা
-
আন্তর্জাতিক2 years ago
বিশ্বজুড়ে বিয়ের যত আজব অদ্ভুত রীতিনীতি
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি2 years ago
মোবাইল ফোন আসল না নকল বুঝবেন যেভাবে
-
খেলাধুলা2 years ago
প্রথম জয়ের স্বাদ পেল আর্জেন্টিনা
-
জাতীয়2 years ago
‘পরীক্ষা এক বছর না দিলে শিক্ষার্থীদের জীবনে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না’
-
আন্তর্জাতিক2 years ago
দ্য চেঞ্জ মেকার : এরদোয়ান
-
সর্বশেষ2 years ago
আনারসের পাতা থেকে তৈরী হচ্ছে ড্রোন