Connect with us

আন্তর্জাতিক

হাজার বছরের পুরনো রহস্যঘেরা ‘কৃষ্ণ সাগর’

Published

on

পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত একটি বিশেষ সামুদ্রিক অঞ্চল ‘কৃষ্ণ সাগর’। প্রাচীন বিশ্বের বহু সমুদ্র বাণিজ্যে এই সাগরের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষ্ণ সাগরের তলদেশে প্রাপ্ত হাজার বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে তার প্রমাণ মিলেছে।

ইউরোপ ও এশিয়ার একাধিক সমুদ্র এবং প্রণালীর সাথে যুক্ত কৃষ্ণ সাগর সম্পর্কে জানাবো আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে।

কৃষ্ণ সাগর পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল -কে পৃথক করেছে। এই সাগরের তীরবর্তী দেশগুলো হলো- বুলগেরিয়ার, রোমানিয়া, জর্জিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক এবং ইউক্রেন। এই সাগরটি বহুপথ পাড়ি দিয়ে একাধিক প্রণালী এবং সাগরের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে অবশেষে আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে মিশেছে। তবে কৃষ্ণ সাগরের সাথে আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগ অতটা সরল নয়। কৃষ্ণ সাগর প্রথমে বসফরাস প্রণালীর মাধ্যমে মর্মর সাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। এরপর দার্দানেলিস প্রণালীর মাধ্যমে এই সাগর সংযুক্ত হয়েছে এজিয়ান সাগরের সাথে। আর সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে সবশেষে জিব্রাল্টার প্রণালীর মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগর আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত হয়। এছাড়া কৃষ্ণ সাগরের সাথে যুক্ত আরেকটি সাগর হল আজভ সাগর। কের্চ প্রণালীর মাধ্যমে সাগর দু’টি সংযুক্ত রয়েছে। কৃষ্ণ সাগরের আয়তন ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার। সাগরটির গড় গভীরতা প্রায় ৪১১১ ফুট এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৫০ ফুট।

কৃষ্ণ সাগরের নামকরণ কিভাবে হয়েছে সে বিষয়ে কেউই ঐক্যমতে আসতে পারেনি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে এই সাগরকে বিভিন্ন নামে ডাকা হতো। একসময় এর নাম ছিল ‘আতিথেয়তাশুন্য সাগর’। কারণ তখন এর তীরে বসবাসকারী বিভিন্ন বর্বর উপজাতি সাগরে চলাচলকারি জাহাজে আক্রমণ চালাতো। পরবর্তীতে গ্রীকরা এই সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল বিজয় করার পর এর নাম দেয় ‘আতিথিয়তাপূর্ণ সাগর’। তবে ধারণা করা হয়, বর্তমানে প্রচলিত নামটি এসেছে মধ্যযুগের অটোমান সাম্রাজ্যের আমলে। তুরস্কের লোকেরা এই সাগরটিকে ‘বাহর ই সিয়াহ্’ অথবা ‘কারাডেনিজ’ নামে ডাকত, যার অর্থ ‘কৃষ্ণ সাগর’। অতীতে শীতকালে এই সাগরে সামুদ্রিক ঝড় উঠলে সাগরের পানি অত্যন্ত কালো দেখাতো। তখন নাবিকেরা সাগরটির এমন নামকরণ করেন।

প্রায় সাত হাজার বছর আগে বর্তমান কৃষ্ণ সাগর ছিল একটি মিঠাপানির হ্রদ। পরবর্তীতে ভূমধ্যসাগর থেকে লবণাক্ত পানি কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করে। তখন কৃষ্ণ সাগরের মিঠাপানির জলজ প্রাণী গুলো মারা যায়, এবং লোনাপানির সামুদ্রিক জীব এখানে বসবাস করতে শুরু করে।

কৃষ্ণ সাগরের আশেপাশে একাধিক পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে। ফলে এসব পাহাড় থেকে সৃষ্ট বহু নদী কৃষ্ণ সাগরে পতিত হয়। নদী গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দানিয়ুব নদী, নিপার নদী, ডিওনী নদী এবং পিভডেনিই বাহ নদী। একাধিক দেশের অধীনে কৃষ্ণ সাগরের ছোট ছোট দশটি দ্বীপ রয়েছে। বর্তমানে এসব দ্বীপে জনপ্রিয় পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

কৃষ্ণ সাগরের ৬৫০ ফুট নিচ থেকে এর পানিতে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে। এর কারণ হলো এই সাগরের উপর ও নিচের স্তরের পানি খুব সামান্য সঞ্চালিত হয়, এবং দুই স্তরের পানির মিশ্রণ খুব কম ঘটে। ফলে সাগরের নিচের দিকে অক্সিজেন সহজে পৌঁছাতে পারে না। অক্সিজেনের অভাবে কৃষ্ণ সাগরের তলদেশের পরিবেশ জৈবিক ভাবে মৃতপ্রায়। এছাড়া এই অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে বিভিন্ন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ সহজে নষ্ট হয় না। তুরস্কের উত্তর দিকের কৃষ্ণ সাগর অংশে সাগরের তলদেশে প্রায় চল্লিশটি পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। জাহাজ গুলো দেখে সহজেই বোঝা যায়, এগুলো বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সময়কার বাণিজ্যিক জাহাজ। যা প্রায় হাজার বছর আগে নিমজ্জিত হয়েছিল। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এত দীর্ঘ সময়েও কাঠের তৈরি সেইসব জাহাজে পঁচন ধরেনি। এমনকি সেই সময়ের জাহাজের দড়ি পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়া ১৩ শতকের ইতালীয় বণিক মার্কো পোলো’র আমলের কিছু জাহাজও এই সাগরের নিচে খুঁজে পাওয়া যায়।

Continue Reading

বিনোদন

পৃথিবীর একমাত্র বায়োনিক চাইল্ড অলিভিয়া

মেয়েটির শরীরে নেই ব্যথা, ঘুম ও খিদে 😮

Published

on

By

bionic child olivia
Photo Credit:

তখন  মেয়েটির বয়স সবে সাত বছর। মায়ের সঙ্গে সে হাঁটতে বের হয়। তবে কিছুতেই  মায়ের হাত ধরবে না। নিজের খেয়াল মতো রাস্তা পার হতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক  দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সে। ছোট্ট শরীরটাকে ধাক্কা মারার পর ঠেলতে ঠেলতে ১০০  ফুট দূরে নিয়ে গিয়েছিলো একটি গাড়ি। ২০১৬ সালে ঘটানাটি ঘটে। পথচলতি লোকেরা  চিৎকার করে ওঠে। মাথা চাপড়াতে চাপড়াতে ছুটে যায় মেয়েটির মা। তিনি ও বাকি  সবাই নিশ্চিত ছিলেন যে, মেয়েটি আর বেঁচে নেই। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে মেয়েটি  উঠে দাঁড়িয়ে মায়ের কাছে ফিরে আসে। তার মুখে একটুও ভয় বা আতঙ্ক নেই। মেয়ের  হাসিমুখের অভিব্যক্তি দেখে তার মায়ের মনে হচ্ছিল সে বলতে চাইছিলো,‘কী হয়েছে  এত চিন্তার কী আছে?’

ডাক্তারের  কাছে নিয়ে যাওয়ার পর তার শরীরে কয়েকটি আঁচড়ের দাগ ছাড়া আর কিছু আঘাতের  চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুরো শরীর স্ক্যান করেও ভেতরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া  যায়নি। ডাক্তাররা নিশ্চিত হলেন কোনো অবস্থাতেই মেয়েটি যন্ত্রণা অনুভব করে  না। শুধু ব্যথা নয় খিদে এমনকি ঘুমও আসে না তার। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, সত্যিই  এমন এক মেয়ে আছে এই বিশ্বে। তার নাম অলিভিয়

২০০৯  সালে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের কাছে হাডারফিল্ড নামের শহরের ফার্নসওয়ার্থ  নামক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। গৃহকর্তা রিড, তার স্ত্রী নিকি ও তাদের  পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে গড়া সাধারণ মধ্যবিত্ত এক ব্রিটিশ পরিবার। পৃথিবীর  অধিকাংশ চিকিৎসক আজ এই পরিবারটিকে চেনেন। এর কারণ হলো তাদের দ্বিতীয় মেয়ে  অলিভিয়া।

১০  বছর বয়সী অলিভিয়া পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। অলিভিয়ার এমন তিনটি বৈশিষ্ট্য আছে যা  পৃথিবীতে আর কারও নেই। যা ওই অতি ক্ষুদ্র মেয়েটিকে করে তুলেছে অলৌকিক  ক্ষমতাসম্পন্ন। ছোট্ট অলিভিয়া দিনের পর দিন না খেয়ে, না ঘুমিয়ে থাকতে পারে  এবং যত বড় আঘাতই পাক না কেন অলিভিয়ার যন্ত্রণা লাগে না। ১০ বছরের জীবনে  একদিনও কাঁদেনি অলিভিয়া।

ফার্নসওয়ার্থ  পরিবারে দ্বিতীয় কন্যা ফুটফুটে অলিভিয়া। কয়েক মাসের মধ্যে বাবা-মা তাদের  মেয়ের অলিভিয়ার কাণ্ড দেখে আতঙ্কিত হলেন। ছুটলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারকে  বলেন, তাদের মেয়ে অলিভিয়া খিদে পেলে কাঁদে না, দিনে রাতে একদম ঘুমায় না,  কোনো ধরনের আঘাত পেলেও কাঁদে না। ডাক্তার হেসে দম্পতিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন,  এটা স্বাভাবিক। আপনারা বেশি খাইয়ে দিচ্ছেন তাই ক্ষুধায় কাঁদছে না। আর ঘুমটা  নিয়ে সব বাবা-মা’র চিন্তা, ওটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কিছুদিন পরেই ঠিক  হয়ে যাবে।

ধীরে  ধীরে বড় হয়েছে অলিভিয়া, মা-বাবা খিদের জ্বালায় মেয়ে কাঁদে না দেখে বাবা-মা  তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতেন। অনেক চেষ্টার পরও অলিভিয়া যদিও  সামান্য কিছু খেতো, কিন্তু কখনো ঘুমোতে চাইতো না। সারাক্ষণ তাকে নিয়ে খেলতে  হতো। পরিবারের সবাই যখন ঘুমে মগ্ন থাকে অলিভিয়া তখন ছোট্ট পায় টলতে টলতে  সারা বাড়ি জুড়ে সারা রাত ধরে ঘোরাঘুরি করতো। বাধ্য হয়ে বাবা-মা রাতে শিশু  অলিভিয়াকে একটি খালি ঘরে খেলনা দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন। তাদেরও তো ঘুমোতে  হবে, না ঘুমিয়ে তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন।

ডাক্তার  বললেন, এক জটিল গঠনগত ত্রুটির শিকার হয়েছে অলিভিয়া। তবে এক বছরের মধ্যেও  অলিভিয়ার এই সব অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই অন্য এক ডাক্তারের কাছে  যান তার বাবা-মা। সব শুনে সেই ডাক্তার অলিভিয়াকে পাঠিয়েছিলেন একটি  ল্যাবরেটরিতে। সেখানে অলিভিয়ার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট নিয়ে  ডাক্তারের কাছে যান তার বাবা-মা। রিপোর্টটি দেখে ডাক্তারের মুখ বিমর্ষ হয়ে  যায়। সে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ফোন করেন। এরপর ডাক্তার রিপোর্টটি পাঠিয়েছিলেন  পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে।

কয়েকদিন  পর অলিভিয়ার বাবা-মাকে ডাক্তার বলেন, আসলে অলিভিয়া ক্রোমোজোম সিক্স পি  ডিলেশন নামক একটি জটিল গঠনগত ত্রুটির শিকার। তাই অলিভিয়ার ক্ষুধা ও ঘুম পায়  না। অলিভিয়ার বাবা-মাকে ডাক্তার বলেছিলেন, এ রোগের কোনো ওষুধ নেই।  অলিভিয়াকে বাঁচাতে গেলে তাকে সময়ে সময়ে খাইয়ে দিতে হবে, কিন্তু ঘুমের জন্য  কিছু করতে পারবো না। কারণ এইটুকু মেয়েকে ঘুমের ওষুধ দেয়া যাবে না। যেহেতু  না ঘুমিয়েও সে সুস্থ আছে তাহলে সেভাবেই তাকে থাকতে দিন। কী এই ক্রোমোজোম  সিক্স পি ডিলেশন? মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় ভ্রুণের কোষগুলো বারবার বিভাজিত  হয়ে নতুন কোষ তৈরি করতে থাকে, ফলে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে কোষের সংখ্যা  দ্রুত ও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অলিভিয়া যখন মায়ের পেটে বেড়ে উঠছিলো, তার  কোষের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছিলো।

তবে  বিভাজনের ত্রুটির জন্য অলিভিয়ার দেহের কোষগুলোতে সিক্স পি নামক ক্রোমোজোম  উপাদানটি ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ভূমিষ্ঠ হয় অলিভিয়া। তবে কোষের ত্রুটি  স্থায়ীভাবেই থেকে গিয়েছিলো অলিভিয়ার দেহে। অলিভিয়ার দেহ থেকে সিক্স পি নামক  ক্রোমোজোম মুছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অলিভিয়ার খিদে, ঘুম এবং ব্যথা পাওয়ার  অনুভুতিও তার জীবন থেকে মুছে যায়।

অপমান  করলে ভয়ঙ্কর উত্তেজিত হয় অলিভিয়া। ডাক্তারের কথা মতো, অলিভিয়ার বাবা-মা  মেয়েকে বড় করতে থাকেন। তারপর অলিভিয়া স্কুলে ভর্তি হয়। দিন-রাত জেগে থেকেও  স্কুলের মেধাবী ছাত্রী সে। পরীক্ষায় অলিভিয়ার নাম্বার সবচেয়ে বেশি থাকে।  খেলাধুলাতেও সে স্কুলে পিছিয়ে থাকে না। তবে শান্ত ও হাসিখুশি অলিভিয়ার  একটাই দোষ, কেউ তাকে অপমান করলে সে ভয়ঙ্কর উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন অলিভিয়া  আক্রোশবশত কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করে সেই মানুষটিকে বা নিজের মাথা দেওয়ালে  ঠোঁকে।

সাইকোলজিস্ট,  সাইক্রিয়াটিস্ট কিছুই বাদ দেননি অলিভিয়ার বাবা-মা। কিন্তু তারা  বলেছিলেন,তাদের কিছু করার নেই। এসব হচ্ছে অলিভিয়ার ক্রোমোজোমের গঠনগত  সমস্যার উপসর্গ। ওষুধ দেয়া যাবে না কারণ অলিভিয়া ওইটুকু সময় বাদ ছাড়া বাকি  সময় সম্পূর্ণ সুস্থ ও হাসিখুশি থাকে। ধরা পড়েছিল অলিভিয়ার আরেক অস্বাভাবিক  বৈশিষ্ট্য রোজ বিকেলে বাড়ির সামনের পার্কে তার ভাই-বোনদের সঙ্গে খেলা করতে  যেতো অলিভিয়া। একদিন অলিভিয়া একা গিয়েছিলো পার্কে।

সেখান  থেকে ফেরার পর অলিভিয়াকে দেখে আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠেছিলেন মা নিকি। অলিভিয়ার  নিচের ঠোঁটের অর্ধেকটা কেটে ঝুলছিল। জামা রক্তে ভেজা, কিন্তু অলিভিয়ার মুখে  হাসি। আতঙ্কিত মায়ের পাশ দিয়ে ঘরে ঢুকে জুতো খুলতে শুরু করেছিলো অলিভিয়া।  মুখে একটুও ব্যথার অভিব্যক্তি ছিল না তার।

হাসপাতালে  ভর্তি করতে হয়েছিল অলিভিয়াকে, প্রথমে স্টিচ ও পরে প্লাস্টিক সার্জারি করা  হয়। পুরো সময়টিতে একটু কাঁদেনি অলিভিয়া। হাসিমুখে ইনজেকশনের পর ইনজেকশন  নিয়েছিলো। ডাক্তাররা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ‘ইস্পাত’ কঠিন মানসিকতার মেয়েটিকে  দেখে। তারপরে অসংখ্য বার আঘাত পেয়েছে অলিভিয়া। কিন্তু তার মুখ থেকে একবার  ‘আহ” শব্দটিও বের হয়নি।

অলিভিয়া  পৃথিবীর একমাত্র ‘সুপার হিউম্যান’ এই দুর্ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের  ডাক্তারদের সঙ্গে অলিভিয়ার ডাক্তারদের ফোন এবং ই-মেল চালাচালি এবং  পৃথিবীব্যাপী সার্ভে রিপোর্টের আদানপ্রদান শুরু হয়েছিলো। কিছুদিন পরে এই  বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অলিভিয়াকে পৃথিবীর প্রথম ‘বায়োনিক চাইল্ড’ ঘোষণা  করেছিলেন। এর অর্থ হলো অলিভিয়া অস্বাভাবিক ক্ষমতাযুক্ত একটি শরীর ও মন নিয়ে  জন্মেছে, এই পৃথিবীতে অলিভিয়ার মতো সহ্যশক্তি আর কারো নেই।

অলিভিয়া  কয়েকমাস না ঘুমিয়ে, কয়েক সপ্তাহ না খেয়ে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারে, আর  তার শরীর যেকোনো আঘাত ও যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে ঠিক রোবটের মতো। এই তিনটি  বৈশিষ্ট্য সম্মিলিতভাবে বিশ্বে আর কোনো মানুষের দেহে কখনো দেখা যায়নি। সারা  পৃথিবী তন্ন তন্ন করে খুঁজে আজ অবধি ১০০ জনকে পাওয়া গেছে যাদের সিক্স পি  নামক ক্রোমোজোম ব্যাধিগ্রস্ত আছে। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে  অলিভিয়াই প্রথম মানুষ যার শরীরে কোন ব্যথা, ঘুম,ক্ষুধা নেই এই তিনটি  উপসর্গই আছে। ভাবলেই অবাক লাগে শারীরিক ত্রুটি আজ লৌহমানবী অলিভিয়াকে বিশ্ব  বিখ্যাত করে তুলেছে। করে তুলেছে বিশ্ব ইতিহাসের প্রথম সুপার হিউম্যান।

~সংগৃহীত

Continue Reading

খেলাধুলা

কি কি থাকছে ফিফার নতুন নিয়মে?

Published

on

By

ফিফার নতুন নিয়ম

বদলে যাচ্ছে ফুটবলের নিয়ম। খেলাটিকে আরও আকর্ষণীয় করতে ৯০ মিনিটের পরিবর্তে খেলা হবে ৬০ মিনিট। থাকবে ইচ্ছেমতো ফুটবলার পরিবর্তনের সুযোগ। হলুদ কার্ড দেখলে সাসপেন্ড হবেন খেলোয়াড়রা, সাইডলাইনে বসে থাকতে হবে ৫ মিনিট। এমন বেশকিছু নতুন নিয়ম অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টুর্নামেন্ট ফিউচার অব ফুটবল কাপে পরীক্ষামূলকভাবে প্রবর্তন করেছে ফিফা। এখনো কিছু চূড়ান্ত না হলেও এরই মধ্যে ভক্তদের মধ্যে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুতেই এসেছে পরিবর্তন। খেলাধুলাও এর বাইরে নয়। দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত কত কিছুই না করছে খেলার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।

টি-২০ ফরম্যাট বিশ্ব ক্রিকেটে যোগ করে নতুন মাত্রা। এবার ফুটবলও সে পথে হাঁটছে। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফুটবলে নতুন কিছু সংযোজনের ক্ষমতা আছে শুধু তাদেরই। ফুটবলকে আরও আকর্ষণীয় করতে বেশকিছু নিয়মে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে তারা।

ইউরোপের চারটি ক্লাব পিএসভি, আজেড আল্কমার, লাইপজিগ ও ক্লাব ব্রুজের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একটি টুর্নামেন্ট চলছে। ফিউচার অব ফুটবল কাপ নামে সেই টুর্নামেন্টে কিছু নিয়মে পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তন এনেছে ফিফা। এমন খবর দিয়েছে ইউরোপের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম। যদিও ফিফার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে খবর প্রচারের পর তা নিয়ে কোনো আপত্তিও জানায়নি ফিফা।

নতুন সেই নিয়মগুলো কি? সবার আগে খবরটি প্রচার করে খেলাধুলাবিষয়ক স্পেনের শীর্ষ পত্রিকা মুন্ডো দেপোর্তিভো। তারা বলছে, প্রস্তাবিত নিয়মে ৯০ মিনিটের পরিবর্তে খেলা হবে ৬০ মিনিট। প্রতি অর্ধে খেলা হবে ৩০ মিনিট। থ্রো ইন হবে পা দিয়ে। কোনো ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখলে সাসপেন্ড হবেন ৫ মিনিটের জন্য, বসে থাকতে হবে সাইডলাইনে। ম্যাচ চলাকালীন ফুটবলার পরিবর্তনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। আর বল মাঠের বাইরে গেলে বা খেলা বাধাগ্রস্ত হলে বন্ধ থাকবে ঘড়ি।

নতুন এ নিয়মগুলো এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে দর্শক-সমর্থকের মাঝে। তাদের অধিকাংশই এই নিয়মগুলোর সমালোচনা করে বলছেন, এখন যে নিয়মে খেলা চলছে সেটাই আদর্শ।

Continue Reading

আন্তর্জাতিক

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন : বিল গেটস

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদের তকমা পাওয়া এই বিচ্ছেদের জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা

Published

on

By

bill gates divorce
Photo Credit:

অবশেষে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী বিল গেটস। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিচ্ছেদের তকমা পাওয়া এই বিচ্ছেদের জন্য নিজেকেই দায়ী করেছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।

গত সপ্তাহে শীর্ষ ধনীদের নিয়ে আয়োজিত এক গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে এ নিয়ে তিনি কথা বলেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলার সময় বিল গেটস রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন বলে ওই ক্যাম্পে অংশ নেওয়া একজন দাবি করেছেন। এমনকি এ নিয়ে কথা বলার সময় গলা ধরে আসে তার।

ক্যাম্পে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন যে, বিল গেটস বিচ্ছেদের জন্য নিজেকেই দায়ী করেন। তিনি এটা (বিচ্ছেদ) নিয়ে কথা বলার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এমনকি তার গলাও ধরে আসে।

ওই ক্যাম্পে ‘অফ দ্য রেকর্ড’ প্রশ্নত্তোর পর্বে সিএনবিসি হোস্ট বেকি কুইক বিল গেটসকে বিচ্ছেদের পর গেটস ফাউন্ডেশনের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন করলে এসব কথা বলেন তিনি।

চলতি বছরের ৪ মে ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন এই দম্পতি।

বিল গেটস ও মেলিন্ডার সম্পর্কের শুরুটা ছিল পেশাভিত্তিক। ১৯৮৭ সালে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছিলেন মেলিন্ডা। এরপর দুজনের মধ্যে জানাশোনা শুরু হয়।

এরপরের গল্প দুজনের সামনে এগিয়ে যাওয়া। শুরু হয় দুজনের চুটিয়ে প্রেম। নেটফ্লিক্সে প্রচারিত এক তথ্যচিত্রে বিল গেটস বলেছেন, আমরা একে অপরের খুব খেয়াল রাখতাম। এখানে দুটি সম্ভাবনা ছিল। হয় আমাদের প্রেমে বিচ্ছেদ হবে, নয়তো আমাদের বিয়ে করতে হবে।

মেলিন্ডা বলেন, তিনি বিল গেটসকে একজন সুশৃঙ্খল মানুষ হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন। এমনকি তাকে বিয়ে করার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিও দিয়েছিলেন বিল—এমনটাই জানিয়েছিলেন মেলিন্ডা।

এরপর প্রেম আরও গভীর হয়েছে। প্রেম শুরুর সাত বছর পর ১৯৯৪ সালে তারা এক ছাদের নিচে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

Continue Reading

Trending

%d bloggers like this: